পরিবেশ বাঁচাতে ছোট পদক্ষেপ, বড় ফল!

webmaster

Village Festival**

"A vibrant village scene during a Durga Puja festival in rural Bengal, India. Traditional folk dances with musicians playing drums (dhak), people in colorful, modest clothing, a bustling fair with stalls selling handicrafts and local food. Safe for work, appropriate content, fully clothed, family-friendly, perfect anatomy, correct proportions, natural pose, high quality."

**

আমাদের সংস্কৃতি আর পরিবেশ একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রকৃতির রূপ, মানুষের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস—সবকিছুতেই একটা নিজস্বতার ছাপ থাকে। এই বাংলায় ঋতু বদলের সাথে সাথে পাল্টে যায় চারপাশের ছবি, আর সেই সাথে বদলায় আমাদের মন মেজাজও। আমি যখন ছোট ছিলাম, দেখতাম বর্ষাকালে বাড়ির পাশে কাদা রাস্তায় জমে থাকা জলে ছোট ছোট মাছ খেলছে, আর এখন দেখি সেই রাস্তায় চকচকে গাড়ি। সময়ের সাথে অনেক কিছুই বদলে গেছে, কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি আর প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাটা আজও একই আছে।আসুন, নিচে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আমাদের গ্রাম বাংলার উৎসবের আমেজ

গ্রাম বাংলার উৎসবের আমেজ

পদক - 이미지 1
বাংলার গ্রামে উৎসব মানেই একটা অন্যরকম অনুভূতি। শহরের যান্ত্রিক জীবন থেকে দূরে, গ্রামের সরল মানুষেরা মেতে ওঠে নানা অনুষ্ঠানে। এই সময়টাতে চারদিকে আনন্দের ঢেউ লাগে, যা মন ছুঁয়ে যায়। আমি নিজের চোখে দেখেছি, কিভাবে দুর্গাপূজা কিংবা ঈদ উৎসবে গ্রামের মানুষ এক হয়ে যায়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে আনন্দ করে। সত্যি বলতে, এই দৃশ্যগুলো আমাকে আজও আবেগ আপ্লুত করে তোলে।

ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য ও গান

গ্রামে বিভিন্ন উৎসবে ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য ও গানের আয়োজন করা হয়। যেমন, দুর্গাপূজার সময় ঢাকিদের বাদ্য আর ধুনুচি নাচের তালে সবাই মেতে ওঠে। আবার, চৈত্রসংক্রান্তিতে গম্ভীরা গান হয়, যেখানে সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরা হয় গানের মাধ্যমে। এই লোকনৃত্য ও গানগুলো আমাদের সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে। আমি নিজে অনেকবার এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি এবং দেখেছি কিভাবে মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করে।

গ্রামীণ মেলা ও প্রদর্শনী

উৎসবের সময় গ্রামে মেলা বসে, যেখানে নানা ধরনের হস্তশিল্প ও স্থানীয় খাবারের দোকান থাকে। এই মেলাগুলো শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমি দেখেছি, কিভাবে ছোট ছোট কারুশিল্পীরা তাদের তৈরি জিনিস বিক্রি করে সংসার চালায়। এছাড়া, মেলায় বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী হয়, যেখানে গ্রামের মানুষ তাদের কৃষি ও শিল্পজাত পণ্য প্রদর্শন করে। এই মেলাগুলো গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিচ্ছবি, যা আমাদের সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করে।

পালাগান ও যাত্রা

একসময় গ্রামে পালাগান ও যাত্রা খুব জনপ্রিয় ছিল। এখন হয়তো আগের মতো দেখা যায় না, কিন্তু এখনও কিছু গ্রামে এর প্রচলন আছে। পালাগান মূলত ধর্মীয় ও সামাজিক কাহিনী অবলম্বনে পরিবেশিত হয়, যেখানে অভিনেতা ও গায়কেরা গান ও অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে। অন্যদিকে, যাত্রা হলো নাটকের একটি রূপ, যেখানে বিভিন্ন পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক কাহিনী তুলে ধরা হয়। আমি ছোটবেলায় অনেকবার যাত্রা দেখতে গেছি এবং সেই অভিজ্ঞতা আজও মনে আছে।

বাংলার খাদ্যাভ্যাসে প্রকৃতির প্রভাব

বাংলার খাদ্যাভ্যাসে প্রকৃতির একটা বড় প্রভাব রয়েছে। আমাদের দেশের মাটি ও জলবায়ু এমন যে এখানে নানা ধরনের ফসল ও সবজি খুব সহজে জন্মায়। আর তাই, আমাদের খাবারেও সেই বৈচিত্র্য দেখা যায়। আমি যখন গ্রামের বাড়িতে যাই, তখন দেখি আমার মা বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি দিয়ে কত মজার মজার রান্না করে। সত্যি বলতে, শহরের ফাস্ট ফুডের থেকে গ্রামের এই খাবারগুলো অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও তৃপ্তিদায়ক।

নদ-নদীর মাছের সমাহার

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, তাই মাছ আমাদের খাদ্যাভ্যাসের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের নদ-নদীতে বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়, যেমন রুই, কাতলা, ইলিশ, বোয়াল ইত্যাদি। এই মাছগুলো শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, বরং শরীরের জন্যও খুব উপকারী। আমি দেখেছি, গ্রামের মানুষ প্রতিদিন সকালে মাছ ধরতে যায় এবং সেই মাছ দিয়ে দুপুরের খাবার তৈরি করে। ইলিশ মাছ আমাদের জাতীয় মাছ, আর বর্ষাকালে ইলিশের নানা পদ রান্না করার ধুম পড়ে যায়।

বিভিন্ন ঋতুর ফল ও সবজি

আমাদের দেশে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি পাওয়া যায়। যেমন, গ্রীষ্মকালে আম, কাঁঠাল, লিচু পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে। বর্ষাকালে পাওয়া যায় নানা ধরনের সবজি, যেমন লাউ, কুমড়ো, পটল ইত্যাদি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজরসহ আরও অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায়। আর এই সবজিগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমি নিজের বাগানে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করি এবং সেই সবজি দিয়ে রান্না করে খেতে আমার খুব ভালো লাগে।

পিঠা-পুলি ও মিষ্টি

বাঙালি সংস্কৃতিতে পিঠা-পুলি ও মিষ্টির একটা বিশেষ স্থান আছে। শীতকালে গ্রামে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়, যেমন ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পুলি পিঠা ইত্যাদি। এছাড়া, বিভিন্ন উৎসবে মিষ্টি তৈরি করা হয়, যেমন রসগোল্লা, সন্দেশ, রসমালাই ইত্যাদি। এই পিঠা-পুলি ও মিষ্টিগুলো আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটা অংশ, যা আমরা সবাই মিলেমিশে উপভোগ করি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জীবনযাত্রা

বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবণ দেশ। প্রতি বছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, আমরা প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকি। আমি দেখেছি, কিভাবে গ্রামের মানুষ দুর্যোগের সময় একতাবদ্ধ হয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তারা হাসিমুখে জীবনযাপন করে।

বন্যা ও নদী ভাঙন

বন্যা আমাদের দেশের একটা নিয়মিত ঘটনা। প্রতি বছর বর্ষাকালে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ঘরবাড়ি, ফসল, গবাদি পশু সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া, নদী ভাঙনের কারণে অনেক মানুষ তাদের বাড়িঘর জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। আমি দেখেছি, কিভাবে বন্যার সময় মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয় এবং ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করে। এই সময়টাতে তাদের কষ্ট দেখে আমার খুব খারাপ লাগে।

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য একটা বড় হুমকি। প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক মানুষ মারা যায় এবং ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। জলোচ্ছ্বাসের কারণে সমুদ্রের লোনা পানি ঢুকে ফসলের জমি নষ্ট করে দেয়। আমি দেখেছি, কিভাবে ঘূর্ণিঝড়ের আগে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং নিজেদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো আমাদের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তোলে, কিন্তু আমরা হার মানি না।

খরা ও অনাবৃষ্টি

কিছু কিছু অঞ্চলে খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে কৃষকেরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের জীবন ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। খরা পরিস্থিতিতে পুকুর ও কুয়োর পানি শুকিয়ে যায়, ফলে খাবার পানির অভাব দেখা দেয়। আমি দেখেছি, কিভাবে খরায় মানুষ কষ্টের শিকার হয় এবং বৃষ্টির জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো আমাদের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ জীবনযাত্রার উপর প্রভাব মোকাবেলার উপায়
বন্যা ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি, পানিবাহিত রোগ বাঁধ নির্মাণ, আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, ত্রাণ বিতরণ
ঘূর্ণিঝড় প্রাণহানি, ঘরবাড়ি ধ্বংস, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আবহাওয়ার পূর্বাভাস, আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর, জরুরি সাহায্য
খরা ফসলহানি, খাবার পানির অভাব, গবাদি পশুর সংকট পানি সংরক্ষণ, বিকল্প ফসল চাষ, গভীর নলকূপ স্থাপন

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রভাব

পদক - 이미지 2
বর্তমানে পরিবেশ দূষণ একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলকারখানার ধোঁয়া, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, পলিথিনের ব্যবহার ইত্যাদি কারণে আমাদের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এর ফলে আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার উপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। আমি দেখেছি, কিভাবে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়।

বায়ু দূষণ

বায়ু দূষণ আমাদের দেশের একটা প্রধান সমস্যা। কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া, ইটের ভাটার কালো ধোঁয়া, এবং শিল্প বর্জ্য থেকে নির্গত গ্যাস আমাদের বাতাসকে দূষিত করে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। আমি দেখেছি, শহরের বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বায়ু দূষণ কমানোর জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।

পানি দূষণ

পানি দূষণও আমাদের জন্য একটা বড় উদ্বেগের কারণ। কলকারখানার বর্জ্য, গৃহস্থালির আবর্জনা, এবং কীটনাশক ব্যবহারের কারণে আমাদের নদ-নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। আমি দেখেছি, গ্রামের মানুষ দূষিত পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হয়, কারণ তাদের কাছে বিশুদ্ধ পানির কোনো বিকল্প উৎস থাকে না। পানি দূষণ রোধ করার জন্য আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে এবং কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে।

মাটি দূষণ

মাটি দূষণ আমাদের কৃষির জন্য একটা বড় হুমকি। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে আমাদের মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে। আমি দেখেছি, অনেক কৃষক বেশি ফলন পাওয়ার জন্য মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার করে, যা মাটির জন্য ক্ষতিকর। মাটি দূষণ কমানোর জন্য আমাদের জৈব সার ব্যবহার করতে হবে এবং পরিবেশ বান্ধব কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পোশাক

গ্রাম বাংলার মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদেও একটা নিজস্বতা রয়েছে। এখানকার মানুষ সাধারণত আরামদায়ক ও পরিবেশবান্ধব পোশাক পরে থাকে। শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, পাঞ্জাবি ইত্যাদি হলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পোশাক। আমি দেখেছি, গ্রামের মহিলারা হাতে তৈরি শাড়ি পরে এবং পুরুষেরা লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পরে স্বচ্ছন্দ বোধ করে।

শাড়ি ও অন্যান্য পোশাক

শাড়ি বাঙালি নারীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক। গ্রামে মহিলারা সাধারণত সুতির শাড়ি পরে, যা তাদের জন্য আরামদায়ক। বিভিন্ন উৎসবে তারা নকশী কাঁথা ও হাতের কাজের শাড়ি পরে। এছাড়া, গ্রামের যুবতীরা সালোয়ার কামিজ ও ফতুয়া পরতেও পছন্দ করে। আমি দেখেছি, গ্রামের মহিলারা নিজেদের হাতে শাড়িতে নকশা করে এবং সেই শাড়ি পরে তারা খুব খুশি হয়।

লুঙ্গি ও ধুতি

লুঙ্গি বাঙালি পুরুষের একটি জনপ্রিয় পোশাক। গ্রামের পুরুষেরা সাধারণত লুঙ্গি পরে কাজ করে এবং এটা তাদের জন্য খুব আরামদায়ক। বয়স্ক লোকেরা ধুতিও পরে থাকে, যা তাদের সংস্কৃতির একটা অংশ। বিভিন্ন উৎসবে পুরুষেরা পাঞ্জাবি ও পায়জামা পরে। আমি দেখেছি, গ্রামের পুরুষেরা লুঙ্গি পরে মাঠে কাজ করতে যায় এবং গরমে তারা খুব আরাম পায়।

পোশাকের উপকরণ

গ্রাম বাংলার পোশাক সাধারণত প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়, যেমন তুলা, পাট ইত্যাদি। এই পোশাকগুলো পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আগেকার দিনে মানুষ নিজের হাতে কাপড় বুনতো, কিন্তু এখন আধুনিক প্রযুক্তির কারণে সেই ঐতিহ্য কিছুটা হারিয়ে গেছে। তবে, এখনও কিছু গ্রামে হাতে তৈরি পোশাকের প্রচলন আছে। আমি দেখেছি, গ্রামের মহিলারা চরকা দিয়ে সুতা কাটে এবং সেই সুতা দিয়ে কাপড় বোনে।

উপসংহার

আমাদের সংস্কৃতি আর পরিবেশ একে অপরের পরিপূরক। এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমাদের জীবনযাত্রা সুন্দর ও সমৃদ্ধ হয়। আমাদের উচিত আমাদের সংস্কৃতি ও পরিবেশকে রক্ষা করা, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটা সুন্দর পৃথিবী পায়। পরিশেষে, আমি বলতে চাই, আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

লেখার শেষ কথা

আমাদের সংস্কৃতি আর পরিবেশ একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এই ঐতিহ্য এবং প্রকৃতির মেলবন্ধন আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলে। আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে আমাদের সংস্কৃতি আর পরিবেশকে রক্ষা করি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সুন্দর এবং সমৃদ্ধশালী জীবন পায়। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে আমাদের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে।

দরকারী তথ্য

১. গ্রাম বাংলার মেলাগুলোতে ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প ও স্থানীয় খাবার পাওয়া যায়।




২. বর্ষাকালে ইলিশ মাছের বিভিন্ন পদ রান্না করার ধুম পড়ে যায়।

৩. শীতকালে গ্রামে পিঠা তৈরির উৎসব লেগে থাকে।

৪. প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় গ্রামের মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়।

৫. বায়ু দূষণ কমানোর জন্য পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

আমাদের সংস্কৃতি ও পরিবেশকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাদ্যাভ্যাস আমাদের সংস্কৃতির অংশ, যা আমাদের ধরে রাখতে হবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: আমাদের সংস্কৃতি এবং পরিবেশ কীভাবে একে অপরের সাথে জড়িত?

উ: আমাদের সংস্কৃতি আর পরিবেশ একে অপরের সাথে খুব গভীরভাবে জড়িত। প্রকৃতির রূপ, মানুষের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস—সবকিছুতেই একটা নিজস্বতার ছাপ থাকে। আমাদের উৎসবগুলো, যেমন নবান্ন বা পহেলা বৈশাখ, সরাসরি প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত। প্রকৃতির উপাদান ব্যবহার করেই আমাদের অনেক শিল্প তৈরি হয়, যেমন বাঁশ দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র। আমি দেখেছি, গ্রামের মানুষজন আজও প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলে, যা শহরের জীবনে হয়তো একটু কম দেখা যায়।

প্র: সময়ের সাথে সাথে আমাদের সংস্কৃতিতে কী পরিবর্তন এসেছে?

উ: সময়ের সাথে অনেক কিছুই বদলে গেছে। আগেকার দিনে মানুষজন যা ব্যবহার করত, এখন তার অনেক কিছুই আর নেই। যেমন, আগে গরুর গাড়ি ছিল প্রধান বাহন, এখন সেখানে গাড়ি বা মোটর সাইকেল। তবে কিছু জিনিস আজও একইরকম আছে। যেমন, আমাদের ভাষার প্রতি ভালোবাসা, মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ, আর উৎসবে পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার আনন্দ। আমি যখন ছোট ছিলাম, দেখতাম সবাই একসাথে গান গাইত, গল্প করত। এখন হয়তো সেই সময়টা একটু কমে গেছে, কিন্তু ভালোবাসাটা আজও একই আছে।

প্র: আমাদের পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য আমরা কী করতে পারি?

উ: পরিবেশকে বাঁচানো আমাদের সবার দায়িত্ব। আমি মনে করি, ছোট ছোট কিছু কাজ করেই আমরা অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারি। যেমন, বেশি করে গাছ লাগানো, প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো, আর জল নষ্ট না করা। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার আমাদের এলাকায় সবাই মিলে গাছ লাগিয়েছিলাম, আর কয়েক বছরের মধ্যেই জায়গাটা সবুজ হয়ে উঠেছিল। এছাড়া, পরিবেশ-বান্ধব জিনিস ব্যবহার করা, যেমন কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা, এটাও খুব জরুরি। আসুন, সবাই মিলে চেষ্টা করি, তাহলেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে পারব।